• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯

বিপিএল

কুমিল্লাকে হারিয়ে রংপুরের তৃতীয় জয়

  • ''
  • প্রকাশিত ৩০ জানুয়ারি ২০২৪

 

হার দিয়ে আসর শুরু করে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা নতুন কিছু নয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে। গত আসরেরও প্রথমে টানা তিন ম্যাচ হেরেও শিরোপা জিতেছিল তারা। চলতি আসরেও চার ম্যাচ খেলে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে কোচ সালাউদ্দিনের শিষ্যরা। চতুর্থ ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৮ রানে হেরেছে কুমিল্লা। বিদেশি খেলোয়াড়রা সবাই এখনও না আশায় বিপাকে পড়েছে তারা।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ১৬৬ রানের লক্ষ্য দেয় রংপুর রাইডার্স। জবাব দিতে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান তুলতে পারে তারা। এতে ৮ রানের জয় পায় রংপুর রাইডার্স।

জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি কুমিল্লা। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে ডাক আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। ইনিংস বড় করতে পারেনি আরেক ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ানও। ২১ বলে ১৭ রান করে নবিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সাকিবের হাতে কাটা পড়েন এই পাকিস্তানি ব্যাটার।

এরপর তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ৪২ বলে নিজের ফিফপি তুলে নেন এই ডান হাতি ব্যাটার। দুজনের ব্যাটে ভরকে জয়ের পথে এগিয়ে জেতে থাকে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

শেষ চার ওভারে কুমিল্লার জয়ের জন্য দরকার ছিল। দ্রুত রান তুলতে গিয়ে ৫৫ বলে ৬৩ রান করে ক্যাচ আউট হন অঙ্কান। এতে রানে গতি কমে যায় কুমিল্লার। পিচে এসে ব্যাট চালাতে থাকেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার খুশদিল শাহও।

আট বলে ১৩ রান করে ক্যাচ আউট হন তিনি। শেষ দুই ওভারে কুমিল্লার যখন ৩৬ প্রয়োজন। তখন তাদের এক মাত্র ভরসা ছিল তাওহীদ হৃদয়। তবে ১৯তম ওভারে ৭ রান খরচা করে হাসান মাহমুদ। এতে ৬ বলে কুমিল্লার লক্ষ্য দাঁড়ার ২৯ রান।

শেষ ওভারে বোলিংয়ে আসেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। প্রথম বলে ডাবল নিতে গিয়ে রান আউটে শিকার হন হৃদয়, এতে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় কুমিল্লা। বাউন্ডারি লাইন থেকে নবির ছোড়া বল সরাসরি স্ট্যাম্পে আঘাত লাগে, সাজঘরে ফেরেন তিনি।

দ্বিতীয় বলে সাকিবকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন আমির জামালও। পরের দুই বলে ছক্কা হাঁকান জাকের আলী। শেষ দুই বলে ৬ রান তুললেও শেষ রক্ষার হয়নি কুমিল্লার। নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান তুলতে পারে তারা। এতে ৮ রানের জয় পায় রংপুর রাইডার্স। ৪ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন জাকের আলী।

রংপুর রাইডার্সের হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট শিকার করেন আজমতুল্লাহ ওমারজাই। এ ছাড়াও সাকিব আল হাসান, হাসান মাহমুদ ও মোহাম্মদ নবি একটি করে উইকেট নেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads